সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের অধীনে সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে বিচার চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।রোববার (৯ মার্চ) এক গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও হত্যাকাণ্ড ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে।
মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’র এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বিএসএফ ৫৮৮ জন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৭৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৯ সালে সীমান্তে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যা নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী গত ১৬ বছরে বিএসএফের হাতে ৫৮৮ জন বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত কোনো হত্যাকাণ্ডেরই তদন্ত ও বিচারকাজ সম্পন্ন হয়নি।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের অন্যায়ভাবে হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া খুবই উদ্বেগজনক। সরকারের নতজানু ও দুর্বল পররাষ্ট্র নীতির কারণেই ভারত বারবার বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে। দেশবাসী মনে করে, এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য সরকারের দুর্বল পররাষ্ট্র নীতিই দায়ী।
বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশা করব, ভারত সরকার সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। সেইসঙ্গে আমরা জাতিসংঘের মাধ্যমে সব বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।